এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪ নম্বর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে অবস্থতি লগ্গিমারার চর আশ্রয়ন কেন্দ্রটি। ইতোমধ্যে ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই তাদের বাসস্থান ও বিভিন্ন মালপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক বসতভিটা হারানো মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালেও বসতভিটা নদী গর্ভে তলিয়ে যায়।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা আল-আমিন জানান, পদ্মা-মেঘনার প্রবল স্রোতে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গোয়লনগর, চোকদারকান্দি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লগ্গিমারা চরের বেপারীকান্দি ও বালিয়ার চরের দেওয়ানকান্দি গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়েছে। আর গ্রামের বাকী বাসিন্দারা তাদের টিনের তৈরি ঘরগুলো নিজেরাই সরিয়ে নিচ্ছে। রাত ১২টার পর থেকে ভাঙন বাড়তে শুরু করেছে।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরেই উজানের নেমে আসা পানির স্রোতে এই দু’টি নদী উত্তাল হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভোর রাত থেকে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই তাদের ঘর সরিয়ে নিয়েছেন। এরই মধ্যে ইউনিয়নের ৪ গ্রামের অর্ধশতাধিক বসতভিটা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
শনিবার ভোর থেকেই ইউপি সদস্যদের নিয়ে নৌকায় করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। আমি সব ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে, এদিকে পদ্ম-মেঘনায় পানির স্রোত বেড়ে গেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা এখানকার মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার ও ওষুধ বিতরণ করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন তাদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এদের সবাইকে সহায়তা দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, ১৯ আগস্ট, ২০১৭
আরএ