শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘সিভিল সোসাইটি শক্তিশালীকরণ এবং লোকাল এজেন্ডা প্রমোটিং’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
১৯ আগস্ট (শনিবার) বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক এনজিও এবং জাতিসংঘের সংস্থার অংশীদারিত্ব নীতিমালা তৈরি করতে হবে। দেশীয় এনজিওর একটি স্বচ্ছ জবাবদিহি কাঠামো থাকতে হবে।
‘প্রায় ৭০ বছর ধরে জাতীসংঘ ও দাতারা তৃতীয় বিশ্বের মানবিক মানোন্নয়নে সহায়তা দিয়ে গেলেও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। দেশগুলোতে সুশীল সমাজ সাধারণত এ ধরনের দাতাদের নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত হচ্ছে, যা থেকে বের হয়ে আসার সময় হয়েছে। ’
‘চলতি বছর প্রায় ১০ কোটি মানুষের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হবে। মানবিক পরিস্থিতির অবনতি, শরণার্থী সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও শান্তি বিঘ্নিত হওয়াই এর মূল কারণ। ’
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। কেবল শিক্ষার্থীদের পাঠদান নয়, দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ ভূমিকা রাখছেন এমন ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা বাড়ানোর কাজও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সম্প্রতি বন্যায় আমরা এর স্বরুপ দেখেছি। দুর্যোগের সময়ে মানবাধিকার রক্ষা কিংবা মানবাধিকার রক্ষার কাজে যুক্ত হতে গিয়ে নৈতিকতা রক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে বক্তারা অভিমত দেন।
সেমিনার সভাপতিত্ব করেন সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
কেজেড/জেডএস