ভোজন বিলাসীরা যে কোন হাঁসের মাংসের স্বাদ নিতে চাইলে এখান থেকে কিনে আনতে পারেন। হাঁসের পাশাপাশি দেশি মুরগি, কবুতর ও কোয়েল পাখি পাওয়া যায় এখানে।
হাঁসের বাজারের পাশেই পাওয়া যায় সব ধরনের বাঁশ। নির্মাণ শিল্পের প্রয়োজনীয় এ উপকরণটি পছন্দমতো কিনতে পারেন যে কেউ। গল্লামারী পুলিশ বক্সের পশ্চিম পাশে ময়ূর নদের পাড়ে হাঁসের বাজার। আর পূর্ব পাশে বাসস্ট্যান্ড থেকে একটু দূরে রাস্তার দুই ধারে বাঁশের বাজার।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে গল্লামারী বাজারের সিকদার সীড হাউজের মালিক রবিউল ইসলাম সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, এ বাজারে দেশি হাঁস-মুরগি যত পাওয়া যায় নগরীর আর কোন বাজারে ততো পাওয়া যায় না। গ্রাম থেকে ব্যাপারী, খামারী ও গৃহস্থরা তাদের হাঁস-মুরগি এ বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। এ বাজারের মুরগির চেয়ে হাঁসের কদর বেশি।
তিনি জানান, খুলনার সবচেয়ে বড় বাঁশের বাজারও এটি। শহরের নির্মাণ শিল্পের কাজ ছাড়াও গ্রামের ঘর-গেরস্থালি কাজের জন্য এখান থেকে বাঁশ কিনেন অনেকে। দিন যতই যাচ্ছে হাঁস ও বাঁশের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠছে গল্লামারী বাজার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাতি হাঁস, চীনা হাঁস, রাজ হাঁসে ভরা বাজার। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ হাঁস কিনতে এসেছেন এখানে। অনূরূপভাবে বাঁশের বাজারও জমজমাট।
আব্দুল্লাহ নামে এক হাঁস বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, আমাগের বাজারে মুরগির চেয়ে হাঁস বেশি উঠে। ম্যালা দূর থেকে খইদ্দের আসেন হাঁস কিনতি।
দাম প্রসঙ্গে তিনি জানান, পাতি হাঁস ২০০-২৫০ টাকা কেজি, চীনা ও রাজ হাঁস ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি।
কেওড়া ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক শরিফুল ইসলাম হিরণ বলেন, আমাদের হোটেলের স্পেশাল মেনু হচ্ছে চীনা হাঁসের মাংস। বারো মাস আমরা এখানে চীনা হাঁসের মাংসের ব্যবস্থা রাখি। যে কারণে আমাদের অনেক হাঁস প্রয়োজন হয়। গল্লামারী বাজারে সব সময় হাঁস পাওয়া যায় বলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়।
বাঁশ ব্যবসায়ী খলিল বলেন, এটি খুলনার বাঁশের হাট হিসেবে খ্যাত বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ বাঁশ কিনতে আসেন। এখানে নড়াইল, খুলনার বিভিন্ন উপজেলা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাগুরা, সাতক্ষীরা থেকে বাঁশ আসে।
দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আকার ভেদে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় এক একটি বাঁশ।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এমআরএম/জেডএম