ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মামলা করেও পিছু হটলো ধর্ষিতার পরিবার

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
মামলা করেও পিছু হটলো ধর্ষিতার পরিবার

ঢাকা: ধর্ষণের মামলা করেও পিছু হটে গেলো নির্যাতিত এক স্কুল ছাত্রীর পরিবার। ভুক্তভোগী নিজেই তার শারীরিক পরীক্ষা করার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে।

গত বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পল্লবী থানাধীন একটি স্কুলের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী কোচিং শেষে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. সুজনের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই স্কুল শিক্ষক সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কিন্তু মামলা দায়েরের পর ভুক্তভোগীর পরিবার অনেকটাই পিছু হটে যাচ্ছে।

পুলিশ বলছে, কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণত তার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। ওই পরীক্ষার প্রতিবেদনটি মামলার বিষয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে ধর্ষিত হয়েছে কি না মূলত সেটি নিশ্চিত করতেই শারীরিক পরীক্ষাটি করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে আদালতে এটি উপস্থাপন করা হয়।  

এ ঘটনায় মামলা হলেও ভুক্তভোগী তার শারীরিক পরীক্ষা করাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

পল্লবী থানা পুলিশ বলছে, সামাজিক মর‌্যাদা ক্ষুন্ন ও লজ্জার ভয়েই হয়তো ভুক্তভোগীর শারীবিক পরীক্ষা করতে অনীহা প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তবে ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলছে।  

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ওই স্কুলের শিক্ষক সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলাও করেছেন।

তবে ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি রাজি হননি। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হযেছে। এই ঘটনার বিষয়ে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান ওসি।  

ভুক্তভোগীর স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন- আসামি মো. সুজন বেশ কিছুদিন যাবৎ তার মেয়েকে স্কুলে কোচিং করার সময় বিভিন্ন খারাপ প্রস্তাব দিয়ে উক্ত্যক্ত করতো।  

গত ১৬ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৬টার দিকে মেয়েটি স্কুলে কোচিং করার জন্য যায়। কোচিং শেষে রাত ৮ টার দিকে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বাসায় ফেরার সময় ওই শিক্ষক সুজন কোচিংয়ের নোট দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীক থাকতে বলেন।

শিক্ষকের কথা অনুযায়ী ওই সময় স্কুলের অফিস রুমে গেলে আসামি সুজন অফিস রুমের দরজা লাগিয়ে দেন এবং ভুক্তভোগীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই সময় মেয়েটি চিৎকার করলে আশে-পাশের লোকজন এসে সুজনকে আটক করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন পুলিশে খবর দিলে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামিকে আটক করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এসজেএ/এএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।