শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে নাটোরের সিংড়া উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন এবং বন্যা কবলিত শতাধিক পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী সিংড়া উপজেলার সাতপুকুরিয়া, আনন্দনগর, বিলদহর এলাকার বন্যা দুর্গত মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে ২০ কেজি করে চাল, নগদ ২০০ টাকা, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি জিরা, গুড় ২০০ গ্রাম, মোমবাতি, দিয়াশলাই, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন।
বিতরণকালে তিনি বলেন, বন্যার কারণে চলনবিলের যে সমস্ত পরিবার তাদের বসত বাড়িতে থাকতে পারবেন না তাদের জন্য নিকটস্থ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
যতদিন পর্যন্ত চলনবিলের বন্যা দুর্গতরা বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে না, তাদের আয়-রোজগারের ব্যবস্থা হবে না, ততদিন পর্যন্ত তাদের দায় দায়িত্ব বহন করবে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা দুর্গত মানুষ যাতে অবহেলা-অবজ্ঞায় জীবন-যাপন না করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
এসময় তিনি চলনবিলের বন্যা দুর্গত ও খেটে খাওয়া মানুষের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল আহসান, ইটালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল ওদুদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রুহল আমিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
আরবি/