জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, জেলার ছয়টি উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নের ৬১৮টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। এতে এক লাখ ১৪ হাজার ২৯০টি পরিবারের চার লাখ ২৭ হাজার ১৪০ জন মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়ন। এছাড়া বন্যার কারণে জেলার ছয়টি উপজেলার ১৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির জানান, তার ইউনিয়নের শতভাগ বন্যা কবলিত। ৪২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। শুক্রবার মাত্র দুই মেট্রিক টন চাল তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন। এই সামান্য চাল বিতরণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, পানিবন্দি মানুষের শুকনো খাবারের প্রয়োজন। ওই ইউনিয়নের ভদ্রশিমুল গ্রামের স্কুল শিক্ষক কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, পানিবন্দি মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকের ঘরে সঞ্চিত খাবার ফুরিয়ে এসেছে। দ্রুত খাদ্য বিতরণ প্রয়োজন।
একই গ্রামের অধিবাসী মাসুদ রানা জানান, দুর্গত মানুষ সাহায্যের অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে। সরকারি-বেরসরকারি উদ্যোগে জরুরি খাদ্য বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
অর্জুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব মোল্লা জানান, তার ইউনিয়নে পাঁচ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে তা বিতরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু বন্যার্ত মানুষের রান্না করার মতো কোনো জায়গাও নেই। তাই শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ প্রয়োজন।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ বাংলানিউজকে জানান, টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ফুটো হয়েছিল তা মেরামত করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার যমুনা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার কমেছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ১৮ আগস্ট, ২০১৭
আরএ