বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও নিম্ন মাধ্যমিক মিলে প্রায় ৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলা পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার কমে যমুনার পানি বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ায় পাউবো’র বগুড়া পরিচালন ও সংরক্ষণ বিভাগের নিয়ন্ত্রাধীন ৪৫ কিলোমিটার ব্রক্ষ্মপুত্র বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের (বিআরই) বিভিন্ন পয়েন্ট হুমকির মুখে। ফাটল, ইঁদুরের গর্ত ও দুর্বল অংশে পানি চুইয়ে পূর্বপাশ হয়ে পশ্চিমপাশে আসায় বাঁধটি ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরের পর সারিয়াকান্দি উপজেলার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের গোদাখালি অংশের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দেয়। মেরামত করে বাঁধটি আপতত রক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনও ঝুঁকি রয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
বন্যাবকলতি এসব এলাকায় বানভাসিদের জন্য এ পর্যন্ত ৭০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কয়েক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর