বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে রাজধানীর কদমতলী থানায় এমন অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা (মামলা নং-৪২) দায়ের করেন ওই মডেল তরুণী।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ওই মডেল মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি শনির আখড়া এলাকায় বোনের বাসায় থেকে পড়াশোনা করেন এবং একটি টেলিভিশনে উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেন।
গত ১২ জুলাই শরিফুল, ওই তরুণীসহ ২৮ জন মডেল ভারতে একটি ফ্যাশন শোতে অংশ নিতে যান। নয়াদিল্লিতে কাজ শেষে শরিফুল তরুণীকে আজমীর শরীফে নিয়ে যান। কোনোদিন তার সঙ্গে প্রতারণা করবেন না বলে সেখানে প্রতিজ্ঞা করেন শরিফুল।
২১ জুলাই দেশে ফেরার পর থেকে প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন শরিফুল। তরুণী এজন্য পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে বলেন।
এজাহারে তরুণী আরো উল্লেখ করেন, গত ২ আগস্ট দুপুরে বিয়ের কথা বলতে তাদের বাসায় যান শরিফুল। সে সময় তার বোন, দুলাভাই এবং বোনের সন্তানরা বাসার বাইরে ছিল। এ সময় শরিফুল তাকে গায়ের জোর খাটিয়ে ধর্ষণ করেন। শরিফুল বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান।
এ ঘটনার পর তরুণী শরিফুলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেও বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন করে শরিফুল গোপণে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও এবং ছবি অনলাইনে প্রকাশ করে দেবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। এরপর ৮ আগস্ট শরিফুল ভুয়া নামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে সেসব ভিডিও এবং ছবি তাকে পাঠান।
বেপরোয়া শরিফুল এরপর তরুণীর বোনের ইমুতে এবং তার অন্যান্য বন্ধুকে ফেসবুক ও ইমুতে ওইসব ভিডিও পাঠাতে থাকেন।
এ বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, তরুণীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়:০৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
পিএম/জেএম