ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বড় আকারে খাদ্যখাতে আসবে বসুন্ধরা গ্রুপ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
বড় আকারে খাদ্যখাতে আসবে বসুন্ধরা গ্রুপ কেক কেটে বসুন্ধরা স্ন্যাকস পণ্যের উদ্বোধন করছেন বিজি চেয়ারম্যানসহ অতিথিরা; ছবি: ছবি: জিএম মুজিবুর/বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে বেশ বড় আকারে খাদ্যখাতে আসবে বলে জানিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। পাশাপাশি খাদ্যে ভেজালমুক্ত সমাজ গড়‍ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এক জমকালো অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (বিএফবিআইএল) এর স্ন্যাকস্ পণ্যের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

বসুন্ধরার এই স্ন্যাকস্ পণ্যের মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় আইটেম যেমন- ইনস্ট্যান্ট নুডলস, স্টিক নুডলস, পাস্তা, স্যুপ, চিপস।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকেছি। আশা করি, একটা একটা করে ফুডের যতো রকম আইটেম আছে সব আইটেমে আমরা ইনভল্বড হবো। আমরা বেশ বড় আকারে ফুড-এ আসবো। আশা করছি চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আসবো।

তিনি বলেন, আমরা একটা ভেজালমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। আমরা মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। বসুন্ধরার মিডিয়াগুলো জীবন বাজি রেখে মাদক, অন্যায় এবং দুনীতির বিরুদ্ধে আপসহীন। আমাদের স্লোগান আছে, ‘আমরা নিরপেক্ষ নই আমরা জনগণের পক্ষে’। আমাদের মিডিয়া সব সময় জনগণের পক্ষে। আমরা সৎভাবে, আপসহীনভাবে ভেজালের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবো।

দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উল্লেখযোগ্য স্থানে বাংলাদেশ চলে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে চলে যাবে।

তিনি বলেন, অনেক দেরি করে হলেও খাদ্যশিল্পে ঢুকেছি। আজকে যে চালের সংকট, এই সংকটের মূলে আমরা ব্যবসায়ীরা। আমাদের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। আমাদের ব্যবসার উদ্দেশ্য মানুষকে ভালবাসা, মানুষের উপকার করা। আমাদের দেশে এখন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী কসাইয়ের মতো হয়ে গেছে। তারা শুধু টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না।

চেয়ারম্যান বলেন, ঈদের সময় দেখি চিনির দাম বেড়ে যায়। মানুষকে যখন সাহায্য করা উচিত তখন আমরা ব্যবসায়ীরা সুযোগ গ্রহণ করে দাম বাড়িয়ে দিই। আজকে চালের দাম বাড়ার জন্য মিল মালিকদের একটি চক্র দায়ী।

বসুন্ধরা স্ন্যাকস পণ্যের উদ্বোধনতিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশন, অনলাইন বাংলানিউজ, রেডিও সবকিছুতে আমরা খাদ্যের ব্যাপারে খুব সোচ্চার। সবকিছুরই একটা সীমারেখা আছে। বিশেষ করে যারা এখন ফুডের ব্যবসায়ী তাদের কাছে নীতিমালা বলে কোনো জিনিস নাই। তারা যখন সুযোগ পায় দাম বাড়িয়ে দেয়। সারা দেশে বন্যা, ট্রান্সপোর্টের সমস্যা হচ্ছে। আমাদের পণ্য পরিবহনে খুব সমস্যা হচ্ছে। আমরা জোর গলায় বলতে পারি কোনো পণ্যের দাম বাড়াইনি, বাড়াবো না।

‘বসুন্ধরা যেসব সেক্টরে আছে সেসব সেক্টরে নাম্বার ওয়ান’ জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে কাগজ শিল্পে, সিমেন্ট শিল্পে বসুন্ধরা গ্রুপ পথিকৃৎ। বাংলাদেশে পঞ্চাশ শতাংশের বেশি কাগজ উৎপাদন করি আমরা। প্রতিদিন ১৪ হাজার সিমেন্ট ব্যাগ উৎপাদিন করি। পদ্মাসেতু, এমআরটি (মেট্রোরেল), বড় বড় স্থাপনায় বসুন্ধরার সিমেন্ট। মানদণ্ডে আমরা খুব সোচ্চার। আমাদের আশেপাশে কেউ নেই। আমাদের সিমেন্ট দিয়ে তৈরি স্থাপনা একশ’ বছরে কিছু হবে না। বাজারে সব চেয়ে সস্তা বসুন্ধরা এলপি গ্যাস। নাম্বার ওয়ান।

তিনি বলেন, মানদণ্ডে আমরা আপসহীন। আমরা এ ব্যাপারে আপোশ করবো না। আমরা খাদ্য নিয়ে রাজনীতি করবো না। একথাটা আমি সবার কাছে বলতে পারি, দেশে চাল নিয়ে যে কেলেঙ্কারি হয়ে গেল, কেলেঙ্কারিমুক্ত বাংলাদেশ আমাদের গড়তে হবে। মানুষের খাদ্য নিয়ে, রিজিক নিয়ে কারো জুয়া খেলা উচিত না। আমি আশা করবো দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, দেশের মানুষকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবাই সৎভাবে একযোগে কাজ করে যাবো।

তিনি বলেন, আজকে ব্যাংকের এক লাখ কোটি টাকা ক্লাসিফায়েড ঋণ, এজন্য সৎ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা যদি না থাকতো তাহলে ব্যবসায়ীরা ৬-৭ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারতো। ভর্তুকি দিতে গিয়ে ১০-১২-১৪ শতাংশে চলে যাচ্ছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ খাদ্যের জায়গাটায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। প্রতিটি খাদ্যপণ্য আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে চায়।

বিএফবিআইএল ও বিএমএফের সিএমও রশিদুল আহসান এবং বসুন্ধরার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দসহ ব্যবসায়িক অংশীদারগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়:১২৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এমআইএইচ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।