বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিউটিট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তার বিচার হয়নি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড হঠাৎ কোনো বিষয় নয়। আন্তর্জাতিকভাবে যারা বাংলাদেশ চায়নি, সেসব শক্তির পরিকল্পিত বিষাক্ত ফল।
ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তাদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, নরহত্যা ঘৃণার কাজ, মহাপাপ। ইসলাম নরহত্যার অনুমোদন দেয় না। জামায়াত যেন ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানে না। গত ১৫ আগস্টে যে জঙ্গি পান্থপথে আত্মঘাতী হলো, সে জামায়াতের রোকনের ছেলে। সেও শিবির করে। এদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ার হতে হবে।
সভায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত ঘাতকরা প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কিন্তু দুঃখের বিষয় খুনিদের বিচার হলেও পরিকল্পনাকারীদের বিচার করতে পারিনি।
তিনি বলেন, ৭৫’র খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুর বুকে বুলেটের আঘাত করেনি, বাংলাদেশের মানচিত্র ক্ষতবিক্ষত করেছে। ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়, ইতিহাস বিকৃত করা হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আবারও আলোর দিকে। তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজমান। তবে বড় বন্যা নয়, বড় বন্যার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আজকে কিছু পত্রিকা লিখেছে, সরকার বন্যা মোকাবেলায় কিছু করছে না। কিন্তু সরকারের কেউ বসে নেই, সবাই কাজ করছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মাদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলাম মারুফ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এমসি/এইচএ/