বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) হাজারো ভক্তের শ্রদ্ধা, শঙ্খ, উলুধ্বনি, মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে আর ধূপ-ধুনোয় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
পূজা উপলক্ষে আগে থেকেই সাধু, সন্ন্যাসী, দেশ-বিদেশের ভক্ত হাজারো নারী-পুরুষ ভক্তের উপস্থিতিতে ক্রমেই সরগরম হয়ে ওঠে মন্দির আঙ্গিনা।
উল্লেখ্য, ৫০০ বছরের অধিকসময় ধরে মহা আড়ম্বড়ের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর এ পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঐতিহাসিক মতে, মধ্যযুগের প্রখ্যাত কবি বিজয় গুপ্ত ‘বিষহরি’ (বিষ হরণকারী) মনসা দেবীর স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে নিজ বাড়ির দীঘিতে স্বপ্নে পাওয়া পূজার ঘট পেয়ে গৈলা গ্রামের নিজ বাড়িতে বিজয় গুপ্ত ৫২২ বছর পূর্বে মা মনসার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং পাশ্ববর্তি বকুল গাছের নিচে বসে স্বপ্নে আদিষ্ট হয়েই তিনি মনসা মঙ্গল রচনা করেছিলেন।
মনসা মঙ্গল মহাকবি বিজয় গুপ্তের অমর সৃষ্টি। শ্রীশ্রী মনসাদেবী কর্তৃক স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে বাংলা সাহিত্যের পৃষ্টপোষক তৎকালীন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ এর রাজত্বকালে আনুমানিক ১৪৯৪ খ্রীস্টাব্দে বিজয় গুপ্ত এ মঙ্গলকাব্য রচনা করেন। মহাকবি বিজয় গুপ্তের পিতার নাম সনাতন গুপ্ত ও মাতার নাম রুক্সিনী দেবী।
বাংলাদেশ সময় : ১৯১০ ঘন্টা, আগষ্ট ১৭, ২০১৭
এমএস/এনটি