বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সংসদ ভবনে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব করা হয়।
চলমান বন্যায় ২২টি জেলার ৩২ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হিসাব দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
পাহাড়ি ঢলের কারণে আরো বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে সংসদীয় কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন বাংলানিউজকে জানান, ‘পাহাড়ি ঢল যেহেতু নামছে, আর বৃষ্টিপাতও অব্যাহত আছে, তাই বন্যা হতে পারে। বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে গ্রাম,শহর প্লাবিত হয়েছে, হচ্ছে। এতে মন্ত্রণালয়ের কোনো গাফিলতি বা ত্রুটি দেখছি না।
তিনি বলেন, আমরা নির্দেশ দিয়েছি বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে সকল ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করতে।
বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অবস্থান যথেষ্ট ছিলো কী না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি যখন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম তখন নভেম্বর মাস আসার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাঁধগুলো পরীক্ষা করতাম। এমন কি রোলার দিয়ে বাঁধ শক্ত করে দিতাম, যাতে বন্যার পানি সহজেই প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু এবার তা দেখিনি।
চলমান বন্যায় সারাদেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ১৯০০ কিঃ মিঃ বাঁধের এক তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। বন্যার পর কোন বাঁধ কি অবস্থায় আছে, কোন বাঁধের ওপর স্থায়ী বসতি তৈরি হয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশের প্রতিটি নদীতে পানির প্রবাহ চলমান রাখার জন্য ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যানের আওতায় একটি গাইড লাইন প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে কমিটি সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এবং অনুপম শাহজাহান জয় বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭,২০১৭
এসএম/বিএস