খাদ্য সংকটের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে জেলার প্রায় ৬ লক্ষাধিক গবাদিপশু। এছাড়া সংকট থাকায় স্থানীয় বাজারগুলোতেও বেড়েছে গবাদিপশুর খাদ্যের দাম।
সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গবাদিপশুর খাদ্য বিক্রেতারা।
চলতি বন্যায় জেলার ৩৪৭ একর জমির কাঁচা ঘাস ও ১ হাজার ৬৬৬ মেট্রিক টন খড় বিনষ্ট হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, চলমান বন্যায় গবাদিপশুর খাদ্য কাঁচা ঘাস ও খড়সহ বিভিন্ন খাদ্য উপাদান বিনষ্ট হয়েছে। আর সে কারণে স্থানীয় বাজারগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে গবাদিপশুর খাদ্য। এছাড়া বন্যায় জেলার রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় সারাদেশের সাথে দিনাজপুরের যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। এ কারণে আমদানি করাও সম্ভব হচ্ছে না গবাদিপশুর খাদ্য।
তিনি জানান, দিনাজপুরে বন্যায় খাদ্য সংকটের কারণে জেলার প্রায় ৬ লক্ষাধিক গবাদিপশু রক্ষা হুমকির মধ্যে পড়েছে। বন্যার কারণে খাদ্য সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি জানিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। বার্তায় উক্ত সংকট মোকাবেলায় আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া গেলে গবাদিপশু পালনকারীদের সহযোগিতা করা হবে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নের আটোড় গ্রামের গরু পালনকারী স্থানীয় খামারি মো. ইরশাদ আলম বাংলানিউজকে জানান, বন্যার কারণে কাঁচা ঘাস ও খড়ের টাইল বিনষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে শুকনা খড়সহ গবাদিপশুর অন্যান্য খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। সংকট থাকার কারণে খড় প্রতি পোন দুই থেকে আড়াই'শ টাকার স্থলে এখন চার থেকে সাড়ে চারশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাদ্য সংকট ও বেশি দাম হওয়ার কারণে গবাদিপশুদের ঠিকভাবে খাবার সরবরাহ করা যাচ্ছে না। চলতি মাসেই পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির হাট-বাজার শুরু হবে। খাদ্যের দামের কারণে এবারে ঈদে গবাদিপশুর দামও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
আরআই