বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
‘স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কোরবানির মাধ্যমে জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক পত্র-পত্রিকায় দেখছি সরকারের নাকি বন্যা মোকাবেলায় কোনো পদক্ষেপ নেই, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। সরকার বন্যা মোকাবেলায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে রিপোর্ট করতে হবে। এতে আমরা আরও সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবো।
খাদ্য সংকটের কথা উড়িয়ে দিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে কোনো ধরনের খাদ্য সংকট নাই। সরকার খাদ্য আমদানি করছে বন্যা পরবর্তী সমস্যার কথা চিন্তা করে। বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগাম ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই জিটুজি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে চাল ও গম আমদানি করা হচ্ছে।
‘ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল এসেছে, কম্বোডিয়া থেকেও আসছে। আরও অনেক দেশ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল ও গম আমদানি করা হবে। ’
চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) শুধু ভোক্তাদের কথা ভাবছেন। কিন্তু যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করছেন সেই সব চাষির কথা ভাবছেন না। শুধু ভোক্তার কথা চিন্তা করা ঠিক নয়।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ধান উৎপাদনে চাষিদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে এটা তুলে ধরা দরকার। চালের দাম বৃদ্ধিতে ভোক্তার পাশাপাশি উৎপাদকদের কথাও লেখা উচিত বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টিভির পরিচালক (নিউজ অ্যান্ড অপারেশন) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জাতীয় টিম লিডার এ কে এম নুরুল আফসারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এমআইএস/এমএ