ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় বন্যাক্রান্ত হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনা নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৮৭ সেন্টিমিটার। যেখানে স্বাভাবিক প্রবাহ ১৩.৩৫ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, আগের তিনদিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বৃদ্ধির হার অনেক কমেছে। বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পানি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বেশকটি বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোর আশপাশে বালুভর্তি জিওব্যাগ রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, জেলার ৫টি উপজেলার, ৪০টি ইউনিয়নের ৩৯১টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। এ সব গ্রামের প্রায় তিনলাখ ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রায় ৭১টি শিক্ষা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। অন্তত ২৭ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে বন্যা কবলিতদের জন্য ৫৩০ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ ২০ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এসএইচ