ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কমছে পানি, বাড়ছে খাদ্য সংকট ও রোগ-বালাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
কমছে পানি, বাড়ছে খাদ্য সংকট ও রোগ-বালাই বন্যার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট ও রোগ-বালাই। ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, কমছে প্লাবিত বিভিন্ন এলাকার পানি। পাশাপাশি জেলার সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে এখনও পানিবন্দি জেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ, ৩৮৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন বানভাসিরা।

এদিকে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বেড়েছে খাদ্য সংকট ও রোগ-বালাই।

জ্বর-সর্দি, আমাশয়, ডায়রিয়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই।

দিনাজপুর জিলা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া শহরের বালুবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. হবিবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও আমাদের বাড়ি-ঘর এখনও তলিয়ে আছে’।

আশ্রয়কেন্দ্র ও দুর্গত এলাকায় ত্রাণ অপর্যাপ্ত বলে অভিযোগ বানভাসিদের।  ছবি: বাংলানিউজতার অভিযোগ, বিভিন্নভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়, বন্যাকবলিত মানুষের তুলনায় কম। কেউ পাচ্ছেন তো কেউ পাচ্ছেন না। এজন্য অনেকে না খেয়ে দিন পার করছেন। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি নেই বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও। বন্যার ময়লা পানিতে বিচরণে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই।

তবে চিকিৎসা ক্যাম্পগুলো ঠিকমতো চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মো. হবিবর রহমান।

বন্যার্তদের মাঝে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে ১১ লাখ টাকা, ২৭৫ মেট্রিক টন চাল ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার (চিড়া, গুড়, মুড়ি ও বিস্কুট) বিতরণ করেছে। আরও ৫০ লাখ টাকা ও ৩০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি  পাঠিয়েছে।

প্রশাসনের ১২৫টি স্বাস্থ্য ক্যাম্পের পাশাপাশি চিকিৎসা দিচ্ছেন সেনা ও বিজিবি’র সদস্যরাও।

এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন অনেকে।  ছবি: বাংলানিউজদিনাজপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রসহ বন্যাকবলিতদের অবস্থান যেখানে, সেখানেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী। বন্যা পরিস্থিতির পুরোপুরি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত জেলার সকল দুর্গত মানুষকে সহযোগিতা করা হবে। বন্যা পরবর্তী সময়ে করা হবে পুনর্বাসনও।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।