বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) সকাল ১০টার থেকে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নদের বিভিন্ন সংযোগস্থল পরিদর্শন করছেন।
জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেন।
নদটিতে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে হয়তো এমনটি হতো না। তাছাড়া দখলদাররা ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। আবার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য, কচুরিপানা স্তুপাকারে জমে থাকাসহ নদের ভেতর বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারনে নদের স্বাভাবিক অবস্থা থেকে বিচ্যুতি ঘটছে।
এতে যেমন মশার উপদ্রুপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, নদ এলাকার জীব ও জীববৈচিত্র বিনষ্ট হওয়াসহ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
তাই নদের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য নদের ভেতর কচুরিপানা, অবৈধ স্থাপনা অপসারন এবং অবৈধ দখল মুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই উদ্যাগের অংশ হিসেবে নারদকে উদ্ধারে খননের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আজ নদের বিভিন্ন স্থানসমূহ পরিদর্শন, ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়া স্থানগুলো চিহ্নিতকরণসহ কিছু অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হবে।
তারা প্রথমে মুছাখা নদীর সঙ্গে নারদ নদের সংযোগস্থল সদর উপজেলার কাফুরিয়া এলাকায় যাবেন। সেখানে নারদ নদের ভেতরে থাকা আটটি মাটির রাস্তা চিহ্নিত ও অপসারণ করা হবে।
পরে নারদ নদের উৎসমুখ পদ্মা নদীর চারঘাট পয়েন্টে বাঁধ ও রেগুলেটর, মুছাখা, বড়াল ও নারদ নদের উৎসমুখ পরিদর্শন করা হবে। এরপর চারঘাট থেকে ফিরে নাটোরের লালপুর উপজেলার নুরুল্লাপুর বন্যা কবলিত এলাকা ও ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করবেন।
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে রয়েছেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. চিত্রলেখা নাজনিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মনিরুজ্জামান ভুঞা, এডিএম রাজ্জাকুল ইসলাম, আরডিসি অনিন্দ্য কুমার মন্ডল, সদর উপজেল চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্কর্া (ইউএনও) নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার, কাফুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেংশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
বিএস