বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকালে মেলান্দহ উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি পড়ুয়া দুই ছাত্রসহ তিনজন মেলান্দহ-ভালুকা সড়কের নাওধরা ব্রিজে পানি দেখতে গিয়ে স্রোতের ঘূর্ণিতে তলিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানার ওসি মযজাহারুল করিম।
এরা হলেন- সর্দারবাড়ী(নলবাড়ী) গ্রামের বাসিন্দা ময়না শেখের পুত্র সজিব(১৬), মেলান্দহ পৌরসভার নাগেরপাড়ার বাসিন্দা লিয়াকত আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান শান্ত (১৬) ও জামালপুর সদর উপজেলার তেতুলিযা গ্রামের বাসিন্দা বদরুল আলমের ছেলে কাজিরপাড়া এলাকায় বসবাসকারী লাল মিয়া(৪২)।
এছাড়া একই দিন বকসিগঞ্জ উপজেলার মালির পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক(৪০) নামে একজন পানিতে পড়ে মারা যান বলে খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার সাথে জেলা ও রাজধানীর সকল অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। পানির স্রোতে নৌকা নিয়েও অনেক স্থানে চলাচল করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে ইসলামপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে যমুনার দ্বীপচর গুলোতে নৌকা যোগে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
বুধবার যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় প্রবাহিত হচ্ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন পাউবো পানি মাপক গেইজ পাঠক আব্দুল মান্নান।
দুর্গত এলাকার মানুষ উঁচু বাঁধে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকেই আবার খোলা আকাশের নীচে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রয়োজনের তোলানায় ত্রাণ খুবই অতুল্য। দুর্গত এলাকায় তাই ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে।
এ ব্যাপারে ইসলামপুরের স্থানীয় এমপি আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল জরুরি ভিত্তিতে প্রধান মন্ত্রীসহ খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
জেডএম/