এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের পর দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা হতে পারে এমন আতংকে এ সতর্কতা জারি করা হয়।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। জেলায় এ বছর এক লাখ ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।
অন্যদিকে জেলায় আউশের আবার হলেও ভারী বর্ষণের কারনে ধান ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকরা। এ অবস্থায় জেলায় বন্যা হলে এসব ফলস নষ্টের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষিবিভাগ।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, বন্যা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি, পর্যাপ্ত খাদ্য শস্য মজুদ রয়েছে। এছাড়াও আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছি।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ভোলায় ফসলের মাঠে এ মুহুর্তে আউশ রোপনের কার্যক্রম চলছে অন্যদিকে আমন ঘরে তোলার সময় হলেও গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং বৈরী আবাহাওয়ার কারনে সকল কার্যক্রমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বন্যায় ভেসে যেতে পারে কয়েক কোটি টাকার ফসল। বন্যা পরিস্থিতি মোকবেলার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের অবজারভার মাহাবুব হোসেন জানান, গত কয়েকদিনে ৩/৪টি জেলায় শতাধিক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিদিনই ভারী বর্ষণ হচ্ছে।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর বরিশাল অঞ্চলের ভারী বর্ষণ কমে যেতে পারে, তবে ভারতীয় পানি নামার সময় কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণে বাঁধের ভেতর ও বাইরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত রয়েছে। এতে আউশ ক্ষেত ঢুবে আছে, ফলে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় হাজার হাজার কৃষক। অন্যদিকে রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না আমন ধান।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
বিএস