৫ শ’ বছরের অধিক সময় ধরে প্রতিবছর এ মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। এবার পূজার আগে মন্দির প্রাঙ্গণে গত ১১ আগস্ট থেকে চারদিনব্যাপি রয়ানি গানের আয়োজন করা হয়।
বলা হয়ে থাকে, মধ্যযুগের প্রখ্যাত কবি বিজয় গুপ্ত “বিষহরি” (বিষ হরণকারী) মনসা দেবীর স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে নিজ বাড়ির
দীঘিতে স্বপ্নে পূজার ঘট পেয়ে মনসার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পার্শ্ববর্তী বকুল গাছের নিচে বসে স্বপ্নে আদিষ্ট হয়েই তিনি মনসা মঙ্গল রচনা করেন।
মনসা মঙ্গল কাব্য মহাকবি বিজয় গুপ্তের অমর সৃষ্টি। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক তৎকালীন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ এর রাজত্বকাল শুরুর বছরে আনুমানিক ১৪৯৪ খ্রীস্টাব্দে বিজয় গুপ্ত এ মঙ্গলকাব্য রচনা করেন।
মহাকবি বিজয় গুপ্তের পিতার নাম সনাতন গুপ্ত ও মাতার নাম রুক্সিনী দেবী। কবি বিজয় গুপ্ত স্মৃতি রক্ষা, মনসা মন্দির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
তারক চন্দ্র দে ও গৈলা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল দাস গুপ্ত জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক সেনারা বিজয় গুপ্তের মন্দির থেকে মনসা দেবীর বিগ্রহ চুরি করে নেয়ার পর ২০০৮ সনে ঢাকাস্থ সনাতন ধর্মের সম্প্রদায়, বিদেশে অবস্থানরত ভক্তদের আর্থিক অনুদানে ১ টন ওজনের পিতলের তৈরি মনসা দেবীর প্রতিমা পুন:স্থাপন করা হয়। এরপর হাতে নেয়া হয় নাট মন্দির সংস্কারের কাজ, যার উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে।
এ বছর মনসা মন্দিরের বাৎসরিক পূজা উপলক্ষে পূজা-অর্চনা, ছাগ বলিদান, ভোগের প্রসাদ বিতরণ করা হবে।
এদিকে বাৎসরিক পূজায় এ বছরও দেশ-বিদেশের ভক্তদের সমাগম ঘটেছে। নিরাপত্তা ও শৃংখলার জন্য মন্দির ও পূজা কমিটির নিজস্ব কর্মীদের পাশাপাশি থানা পুলিশও ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এমএস/জেডএম