বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে তিনি কোয়ার্টারের ৮ তলায় নিজ রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেন।
খবর পেয়ে ছোট ভাই ইমরান হোসেন এসে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত ১০টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই ইমরান জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার দোয়ারপার গ্রামে। বাবার নাম মৃত রজব আলী বিশ্বাস। তার স্বামী আমিরুজ্জামান পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই)। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে কর্মরত। এক মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে ওই কোয়াটারে থাকতেন তারা।
আমিরুজ্জামান সন্ধ্যায় ছোট ভাই ইমরানকে ফোন দিয়ে বাসায় আসতে বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় এলে আমিরুজ্জামানকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে দেখেন। তখন কী হয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তোর বোন উপরে আছে। গিয়ে দেখা কর।
ইমরান বাসায় গেলে রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় তার বোনকে দেখতে পান।
সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, শুনেছি তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, ১৬ আগস্ট, ২০১৭
এজেডএস/আরএ