ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চিকিৎসা সম্ভব,সুস্থ হয়ে উঠবে শাহাদাত!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
চিকিৎসা সম্ভব,সুস্থ হয়ে উঠবে শাহাদাত! শাহাদাতের সঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরসহ অন্য চিকিৎসকরা। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: বিরল রোগে আক্রান্ত কিশোর শাহাদাত হোসেন সুস্থ হয়ে উঠবে। ফিরতে পারবে স্বাভাবিক জীবনে। উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও ত্বকের এই বিরল রোগটির চিকিৎসা সম্ভব বলে মনে করছে তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

বুধবার(১৬ আগস্ট) শাহাদাতের জন্য ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হয়।

বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন: আধুনিক ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা. অসীম কুমার সাহা, সিনিয়র কনসালট্যান্ট(চর্ম)ডা. আবদুল মান্নান সিদ্দিকী, সিনিয়র কনসালট্যান্ট(মেডিসিন) ডা.শহিদুল্লাহ দিদার, চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডা. ব্রজগোপাল পাল, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.সাইফুর রহমান ভূঁঞা ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. হারুন অর রশিদ।

প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, সে ‘ইকথায়োসিস ভ্যালগারিস’ নামের বিরল আর জটিল এক রোগে আক্রান্ত। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর চামড়ার নীচে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। প্রচুর চুলকানি হয় এবং চামড়া খসে পড়ে। তবে এটি কোনো ছোঁয়াছে রোগ নয়।

এর আগে শাহাদাতকে নিয়ে করা সংবাদটি বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসকসহ ফেনীর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নজরে আসে। বুধবার দুপুরে তাকে চিকিৎসার জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিকভাবে তাকে ১ সপ্তাহকাল পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।

বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত কিশোর শাহাদাতের বর্তমান অবস্থা; ছবি: বাংলানিউজসিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘ইকথায়োসিস ভ্যালগারিস’ মূলত জন্মগত একটি রোগ। তবে এটি ছোঁয়াছে কোনো রোগ না। রোগটি কমন কোনো রোগ না। বরং এটি খুব বিরল এক রোগ।  উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও এ রোগের চিকিৎসা সম্ভব।

শাহাদাতের মা জাহেদা বেগম জানান, শাহাদাতের জন্ম ২০০৩ সালে। আর দশটা শিশুর মতো সেও স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। কিন্তু জন্মের কয়েক ঘন্টা পর তার শরীরে পরিবর্তন (ফাটল) দেখা দিতে থাকে। ওর ত্বকে চিড় বা ফাটল দেখা দিতে থাকে। স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে শিশু শাহাদাতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

সেখানে দীর্ঘ দেড় মাস চিকিৎসা নেয়ার পর চিকিৎসকরা চিকিসা পুরোপুরি শেষ না করেই রোগটিকে ‘চর্মরোগ’ বলে উল্লেখ করে ওষুধপত্র দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দেন। দীর্ঘদিন সেই ওষুধ ব্যবহারের পরও শাহাদাতের ত্বকে কোনো ইতিবাচক কোন পরিবর্তন হয়নি।

শাহাদাত ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের চরকালিদাস গ্রামের খুরশিদ আলম আইয়ুব ও জাহেদা বেগমের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়:২০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এসএইচডি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad