১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিক ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী বক্তৃতা করছিলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সাহা, নিয়ন্ত্রক সার্টিফাইং অথরিটির শরিফ মোহাম্মদ শরফুদ্দিন প্রমুখ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু কিশোর বয়সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন। তার মাঝে প্রতিবাদী চরিত্র ফুটে ওঠে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে।
বঙ্গবন্ধুকে সমসাময়িক বিশ্বের সেরা কূটনীতিক উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার কূটনৈতিক দক্ষতার গুণে মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে বিশ্বের ১০৬টি দেশের স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছিলেন। বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে, যারা স্বাধীন হওয়ার পর এখনও বিদেশি সৈন্যদের ফেরত পাঠাতে পারেনি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক দক্ষতায় যুদ্ধের পর আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের সৈন্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি। খুনিচক্র সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি। তার পরিবাবেরর ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করে। খুনিচক্র সেদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে, দেশের অগ্রযাত্রাকে ধংস করে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার চাওয়ার অধিকার পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন উল্লেখ করে পলক বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত, এই ২১ বছর ভুল নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হয়। যে কারণে বঙ্গবন্ধু অবদানের সঠিক ইতিহাস জাতি জানতে পারেনি। পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস বিকৃত করা হয়।
‘এখন সময় এসেছে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার। ’— যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এসএম/এইচএ/