বুধবার (১৬ আগস্ট) দিনাজপুর শহরতলী বাঙ্গীবেচা ঘাট ব্রিজের উপর খোলা আকাশের নিচে কয়েক হাজার বন্যাদুর্গত মানুষদের আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
শনিবার (১২ আগস্ট) থেকে বুধবার (১৬ আগস্ট) পাঁচ দিন ধরে বাস্তুহারা হয়ে খোলা আকাশের নিচে দিনরাত কাটছে শিশু-বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ সবার।
অসহায় এসব মানুষেরা বিশুদ্ধ খাবার পানি পাচ্ছেন না। বাড়িঘরের টিউবওয়েলসহ পানি সরবরাহের সব বন্দোবস্ত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই বাঙ্গীবেচা এলাকায় বন্যাদুর্গত মানুষদের বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে হাহাকার উঠেছে। খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেওয়া এসব মানুষ পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার।
বাঙ্গীবেচা ব্রিজের উপর আশ্রয় নেওয়া সদর উপজেলার মাজাডাঙ্গা এলাকার মো. নূরুন্নবী আজাদ পেশায় একজন রিকশাচালক। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বন্যার পানি এত দ্রুত এসেছে যে, কোনকিছুই রক্ষা করার সময় পাওয়া যায়নি। স্ত্রী-সন্তানদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার পর গিয়ে দেখি বাড়ি-ঘর সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যার পানি। তবে আমার রুটি-রুজির সম্বল রিকশাটি বাড়ির পাশের একটি আম গাছের তলে ঢেকে যায়। তাই রিকশাটিও উদ্ধার করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, অসহায় অবস্থায় ব্রিজের উপর ঠাঁই নিয়েছি। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনাহারে দিন কাটাচ্ছি। বন্যা এখন আমাদের পথে এনে দাঁড় করিয়েছে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে ত্রাণের সামগ্রী পৌঁছানোর সাথে সাথে বন্যাদুর্গত মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব বন্যার্তদের সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এমজেএফ