বাঁধটির অন্তত ১৫/১৬টি স্থানে ইঁদুরের গর্ত দিয়ে পানি চুইয়ে ঢোকায় যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
বাঁধের ঝুঁকিপুর্ণ স্থানগুলোতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধের বিভিন্ন এলাকায় ইঁদুরের গর্তের কারণে পুরো বাঁধটি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে বাঁধটির বিভিন্ন অংশে চুইয়ে চুইয়ে পানি ঢুকছে।
বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে চিলমারী উপজেলা ও উলিপুরের আদর্শ বাজার, বজরা, তবকপুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে।
উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির কারণে তীব্র স্রোতে বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। এতে সৃষ্ট গর্তগুলো ধীরে ধীরে বড় আকার ধারণ করছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বাঁধটির যে জায়গাগুলো আমরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি, সেগুলো সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছি। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা চলে এসেছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে তারাও আমাদের সাথে কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
জেডএম/