ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঘুষের মামলায় শ্যামল কান্তির স্থায়ী জামিন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
ঘুষের মামলায় শ্যামল কান্তির স্থায়ী জামিন

নারায়ণগঞ্জ: ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লাঞ্ছনার শিকার নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের মামলায় বিচারিক আদালত থেকে স্থায়ী জামিন পেয়েছেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত।

বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন বিচারক।

পরে আদালত ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।

গত বছর বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত (বেতন বাবদ সরকারি অনুদান পাওয়া) করে দেয়ার আশ্বাসে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মামলায় দায়ের হয়েছিল।

শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এর আগে ১৩ জুলাই মামলাটি বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়। বুধবার মামলার নির্ধারিত তারিখে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে আদালত ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।  

তিনি আরো বলেন, আমরা সুবিচারের আশায় আছি। শ্যামল কান্তি ভক্ত একজন শিক্ষক মানুষ, নিরাপরাধ। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার জন্যই এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশা করছি শ্যামল কান্তি স্যার এর সুষ্ঠু বিচার পাবেন।

ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে গত বছরের ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠ-বসের ঘটনার দুই মাসের মাথায় ওই বছরের ১৪ জুলাই ওই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলা হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে গত (২০১৭ সালের) ১৭ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত করে দেয়ার জন্য শ্যামল কান্তি ভক্তকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। এরপর আরো ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে আরো ১ লাখ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু সে শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের এমপিওভুক্তের আবেদন কোন স্থানেই পাঠাননি। পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৬ সালের ১২ মে কোনো টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করেন।

এবিষয়ে মোর্শেদা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর সহকারী কমিশনার ভূমি তদন্তও করেছেন। গত ২৪ মে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিন শ্যামল কান্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে গত ৩১ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিন দেন। গত ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা বেগমের আদালত শ্যামল কান্তি ভক্তকে অভিযোগ গঠনের আগ পর্যন্ত জামিন দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।