নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণে ব্যবসায়ীরা হয়ে পড়েন অনিরাপদ। বাজারে গরু তুলতে ব্যবসায়ীদের আমদানি করা গরুর রশি নিয়ে শুরু হয় টানাটানি, মারামারি।
গত বছর ২২ লাখ টাকায় পশুর হাট ইজারা দিলেও লিজ গ্রহীতাকে বাজারের দখল বুঝিয়ে দিতে পারেনি সিসিক কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে অনেকটাই বেকায়দায় পড়তে হয় নগর কর্তৃপক্ষকে। ফলে এবার সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো পশুর হাট ইজারা দেওয়া হবে না-সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
নগরীতে পশুর হাট ইজারা দেওয়া নিয়ে বুধবার (১৬ আগস্ট) বাংলানিউজের মুখোমুখি হন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, নগরের আইন হলো কোনো রাস্তায় হাট-বাজার বসতে পারবে না। আমরা সেই নিয়মের বাইরে যেতে চাচ্ছি না। নিয়ম ভেঙে আমরাই যদি ইজারা দেই, তাহলে অন্যরাও সড়কে পশুর হাট বসানোর সুযোগ পাবে। ইজারাকৃত হাট নিয়ে হট্টগোল হবে।
আরিফুল হক বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের একমাত্র বৈধ পশুর হাট কাজিরবাজার। তবে বাজারটি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে বাজারটি সিসিক কর্তৃপক্ষকে বুঝে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো দেওয়া হয়নি।
নগরীর কয়েদির হাট এবার ইজারা দেওয়ার বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, গত ঈদুল আজহায় সরকারের হেফাজতে ছিলাম। তখ হাটটি ইজারা দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এবার আমরা সেই ঝামেলায় যেতে চাচ্ছি না। বৈধ পশুর হাট কাজিরবাজার ছাড়া আর কোনো হাট বসাতে দেওয়া হবে না!
গত বছর নগরীর কুমারপাড়া, শাহী ঈদগাহ উপজেলা মাঠ, আখালিয়া বিজিবি মাঠ, মাছিমপুর, মেডিকেল রোড, কমদতলী, রিকাবিবাজার, খরাদিপাড়া আনন্দ মাঠ, টিলাগড় পয়েন্ট, বালুচর খেলার মাঠ, চালিবন্দরে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মুখ, লাক্কাতুড়া, মেন্দিবাগ পয়েন্টসহ নগরীর অর্ধশতাধিক স্থানে পশুর হাট বসানো হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, এসব হাট বসানোর নেপথ্যে ছিলেন ক্ষমতাসীন দলসহ অন্য দলের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া সিটি করপোরেশন থেকে হাট ইজারা দিলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে ইজারাকৃত স্থানে আগেই বাজার বসিয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট, ২০১৭
এনইউ/জেডএম