বুধবার (আগস্ট ১৬) বেলা ১২টায় রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার শুনানি শেষে এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।
রংপুর জজ আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক জানান, সকালে কঠোর নিরাপত্তায় জেএমবির উত্তরাঞ্চলের কিলিং মিশন প্রধান মাসুদ রানা, জেএমবি সদস্য এছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন, তৌফিকুল ইসলাম, সাদাত ওরফে রতন, সরোয়ার হোসেন ওরফে সাবু ও জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিবকে বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে জেএমবি নেতা মাসুদ রানা, সদস্য লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন জাপানি নাগরিক কোনিও হোশি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মাজারের খাদেম ও ও পল্লী চিকিৎসক রহমত আলীকে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা। এর আগে ওই মামলায় ১৪ জেএমবির সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এদের মধ্যে জেএমবি সদস্য বাইক হাসান ও সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বাকি ১২ জনের মধ্যে ৯ জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা কারাগারে আছেন। তিন জঙ্গি এখনো পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
আরআই