অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বগুড়া পরিচালন ও সংরক্ষণ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ৪৫ কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের (বিআরই) পয়েন্টগুলো রয়েছে ভয়ঙ্কর হুমকির মুখে। ফাটল, ইঁদুরের গর্ত (র্যাটহোল) ও দুর্বল অংশে পানি চুইয়ে (সিপেস) পূর্বপাশ হয়ে পশ্চিমপাশে বের হওয়ায় বাঁধটি ক্রমশই আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
বাঁধের যেকোনো পয়েন্ট ভেঙে গেলে যমুনা তীরবর্তী সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলা ছাড়াও শেরপুর ও গাবতলী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেখানে আশ্রয় নেওয়া বানভাসিদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এ ধরনের ঘোষণা দিয়ে বাঁধ ও আশেপাশের এলাকায় মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। তখন থেকেই পানিতে মারাত্মক বাড়তি চাপ শুরু হয়। সে চাপ পড়তে থাকে বাঁধের ওপরে। ক্রমাগত চাপের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন বাংলানিউজকে জানান, যমুনায় পানির লেভেল বেড়ে যাওয়ায় বাঁধের ওপর মারাত্মক চাপ তৈরি হয়েছে। এ কারণে পুরো বাঁধের একাধিক পয়েন্টে পানি চোয়ানো শুরু হয়েছে।
চোয়ানো স্থানগুলোর বেশ কয়েকটি বড় আকার ধারণ করায় বাঁধের একটি অংশে ফাটল দেখা দেয়। ফাটলের স্থানটিতে জরুরিভাবে মেরামত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাঁধটি রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী।
তিনি জানান, বাঁধের সারিয়াকান্দি উপজেলার গোদাখালি, ইছামারা, রৌহাদহ, কুতুবপুর, শেখপাড়া, দিঘলকান্দি, হাটশেরপুর ও পারতিতপরল এবং ধুনট উপজেলার শহরাবাড়ি ভাণ্ডারবারি পয়েন্টের অবস্থা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লোকালয় অংশের (কান্ট্রি সাইড) চেয়ে নদীমুখ অংশের (রিভার সাইড) পানি প্রায় ৮ ফুট উচ্চতায় থাকায় এসব পয়েন্টে দুর্বল বাঁধ ভেঙে যেকোনো মূহুর্তে লোকালয়ে পানি প্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭।
এমবিএইচ/এএসআর