ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নৌকাতেই ঘর বাড়ি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
নৌকাতেই ঘর বাড়ি শুকনো জায়গার অভাবে নৌকাতেই শুকোনো হচ্ছে ধান

ঢাকা: প্রবল বর্ষণ আর বন্যায় চারিদিক ডুবে গেছে। যতদূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি।রাস্তাঘাট,জমির ফসল পানিতে ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি ডুবছে আবাসস্থলও। বাধ্য হয়ে তাই নৌকায় বসতি গেড়েছেন বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউপির আজমল মিয়া। নৌকাতেই পেতেছেন  সংসার।

সরেজমিনে বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে গোটা উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, পানিবন্দি মানুষ, চলাচল করছেন কলা গাছের ভেলায়। ইটের স্তুপের উপর বসে কোন রকমে রান্না করছেন গৃহিনীরা।

কোমর  পানি ভেঙ্গে মানুষ গবাদি পশুকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি আশ্রয় কেন্দ্রের একমাত্র নলকূপটিও নিমজ্জিত বন্যার পানিতে।

কথা হয় আজমল মিয়ার সাথে,তিনি জানান কৃষিকাজ করেই তার সংসার চলে। বসতবাড়ি পুরোপুরি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে নৌকাতেই সংসার পেতেছেন তিনি। গত এক সপ্তাহে ত্রাণ বলতে শুধু ৫ কেজি চাল ও সামান্য ডাল পেয়েছেন। বাধ্য হয়ে নৌকাতেই চালের জন্য ধান শুকাচ্ছেন তিনি।

তিনি আরও জানান;বাড়ির গরু-ছাগলগুলো তো আর নৌকায় থাকতে পারবে না। তাই আশ্রয় কেন্দ্রে ওগুলোকে রেখে এসেছি। খাবারের সময় শুধুমাত্র গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় করে খাবার দিয়ে আসছি। নিজে খেতে না পারলেও গবাদিপশুগুলোকে সময় মত খাবার দিচ্ছেন বলে তিনি জানান।

বন্যার পানি ভেঙ্গে গরু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে কথা হয় জোহরা বেগমের সাথে,তিনি জানান; উপায় না পেয়ে গরুকে বাঁচাতে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা কষ্ট করে নৌকাতে ঘর পাতলেও গবাদি পশু নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।

বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল হক জানান; ত্রাণ তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বন্যার কারণে উপদ্রুত এলাকায় হেঁটে চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। যেতে হচ্ছে নৌকায় করে।

রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক জানান; বানভাসী মানুষের জন্য ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আমি নিজেও অনেক এলাকায় নৌকায় করে গিয়ে ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।