ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বাড়ছে শীতলক্ষ্যার পানি, না’গঞ্জে বন্যার শঙ্কা

মাহফুজুর রহমান পারভেজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
বাড়ছে শীতলক্ষ্যার পানি, না’গঞ্জে বন্যার শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে বন্যার পানি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের চারদিক পরিবেষ্টিত শীতলক্ষ্যা নদীতে। প্রতিদিনের বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে আসা পানিতে বাড়ছে নদীর পানির উচ্চতা। খুব দ্রুত নদীর পানি বাড়ার কারণে বন্যায় আশংকা রয়েছে নারায়ণগঞ্জেও। সরেজমিনে দেখা গেছে প্রতিনিয়তই নদীর পানি একটু একটু করেই বাড়ছে

বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বৃষ্টির কারণে নদীর পানি আরো বেড়েছে। নদীর পানি বাড়ার কারণে নদীর তীর সংলগ্ন মানুষরাও রয়েছে দুশ্চিন্তায়।

তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতিমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।

এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আগামী ১৯ অথবা ২০ তারিখের দিকে নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যার পানি বিপদসীমা ছাড়াতে পারে। বন্যা পূর্ভাবাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য এমন আভাসই দিচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে ১৩ আগস্ট রাত দুপুর ১২টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিলো ৪.৯৯ দাগে (এমপিডব্লিউডি)। ১৪ আগস্ট রাত ১০টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিলো ৪.৯৩ দাগে। ১৫ আগস্ট রাত ১০টায় শীতলক্ষ্যার পানি ছিলো ৫.১৩ দাগে। ১৬ আগস্ট রাত ১০টায় শীতলক্ষ্যার পানি থাকবে ৫.৩৬ দাগে। ১৭ আগস্ট রাত ১০টায় শীতলক্ষ্যার পানি থাকবে ৫.৫৫ দাগে এবং ১৮ আগস্ট রাত ১০টায় শীতলক্ষ্যার পানি থাকবে ৫.৭২ দাগে।

 

জানা গেছে, শীতলক্ষ্যার বিপদসীমা হচ্ছে ৫.৫০ দাগে। অর্থাৎ ১৭ আগস্ট রাতেই শীতলক্ষ্যার পানি বিপদসীমা ছাড়াবে। এর আগে শীতলক্ষ্যার পানি সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছিল ৬.৯৩ দাগে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে শীতলক্ষ্যার পানি বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শীতলক্ষ্যার পানি সাধারণত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র হয়ে যমুনা নদী থেকে আসে। বর্তমানে যমুনার পানি বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বিপদসীমার ১ মিটার ও তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে শীতলক্ষ্যার পানি বাড়ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শীতলক্ষ্যার পানি আরো বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। সেক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মো.রফিকুল ইসলাম মজুমদার জানান, তারা ইতিমধ্যেই পাঁচটি উপজেলায় সভা করে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। পাঁচটি উপজেলাতেই এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোথায় কোথায় আশ্রয় কেন্দ্র হবে এবং সেগুলো তদারকিতেও কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে যা জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। যখন যেখানে যা প্রয়োজন সেগুলো জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে তারা পৌঁছে দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।