ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পরিচয় যেটাই হোক ট্রাফিক আইন ভাঙলেই ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
পরিচয় যেটাই হোক ট্রাফিক আইন ভাঙলেই ব্যবস্থা পরিচয় যেটাই হোক ট্রাফিক আইন ভাঙলেই ব্যবস্থা

ঢাকা: ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীর পরিচয় যেটাই হোক না কেন, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘শব্দ দূষণ ও হাইড্রলিক হর্ন বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনোভাবেই ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করা যাবে না।

যদি কেউ উল্টো পথে যানবাহন নিয়ে প্রবশে করে তবে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। সে যত বড় পরিচয়ধারী হাক না কেন কোনো ছাড় দেয়া হবে না।  

নগরবাসীকে অনুরোধ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। সড়কে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করা থেকে বিরত থাকুন, সড়কে অবৈধ পার্কিং করবেন না। যদি কেউ ট্রাফিক আইন অমান্য করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

কিছুদিন আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন- ‘কোনো মন্ত্রী-এমপির গাড়িও উল্টাপথে চলতে পারবে না। কেউ যদি আইন অমান্য করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’- বললেন ডিএমপি কমিশনার।

ট্রাফিক ব্যবস্থার টেকসই উন্নতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিএমপি ট্রাফিক ব্যবস্থা স্থায়ী ও টেকসই উন্নয়নের জন্য আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি। এক দিনেই তো সব ঠিক হয়ে যাবে না, এর জন্য আমাদেরও একটু সময় দিতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার দাবি করেন, গত বছরে ট্রাফিক বিভাগ যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, এগুলোর অনেক ক্ষেত্রেই সফলতা পাওয়া গেছে। উল্টাপথে গাড়ি চলা, মোটরসাইকেলে তিনজন যাত্রী উঠা, হেলমেট ব্যবহার না করা, বিভিন্ন ধরনের স্টিকার ব্যবহার করে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করা, হাইড্রলিক হর্নের অননুমোদিত ব্যবহার ইত্যাদি অনেকটা কমে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনের পর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারর বাইরে জব্দ করা প্রায় ১০ হাজার হাইড্রলিক হর্ন ধ্বংস করা হয়। যার সবগুলো গত এক বছরে ট্রাফিক বিভাগ অভিযান চালিয়ে সড়কের বিভিন্ন গাড়ি থেকে জব্দ করেছিল।  

হাইড্রলিক হর্ন বন্ধে ডিএমপি কমিশনার যেসব বিষয়ে জোর দিয়েছেন, সেগুলো হচ্ছে- মোটরযান আইনের ১৩৯ ধারায় শাস্তির পরিমাণ বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, মালিক ও চালকদের প্রশিক্ষণের সময় হর্ন/হাইড্রলিক হর্নের যত্রতত্র ব্যবহারের কুফল, হর্ন না বাজিয়ে গাড়ি চালানের কৌশল ইত্যাদি বিষয় ব্যাপক ধারণা দেয়া, হাইড্রলিক হর্নের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রয় বন্ধ নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ, হাইড্রলিক হর্ন বিক্রয়কারী বিভিন্ন মোটর পার্টসের দোকান এবং সংযোগকারী বিভিন্ন ওয়ার্কশপে মোবাইল কোর্ট করে বিক্রয় ও সংযোজন বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, মোটর পার্টসের দোকান ও ওয়ার্কশপের উপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে আইনের আওতায় আনা, বিভিন্ন সড়কে, রাস্তার মোড়ে, পেট্রোল পাম্পে, টোল প্লাজায় হাইড্রলিক হর্ন বাজানো নিষেধ সম্বলিত সচেতনতামূলক ডিসপ্লে বোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে এবং আরও টাঙ্গানো হবে, হাইড্রলিক হর্ন বন্ধে সবাইকে সচেতন করা এবং দিনে-রাতে বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট করে ব্যবস্থা নেয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এসজেএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।