ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গাইবান্ধার ৩ নদীর পানি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গাইবান্ধার ৩ নদীর পানি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গাইবান্ধার ৩ নদীর পানি

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার চার নদীর মধ্যে তিন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার পাঁচ উপজেলার প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষ।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলায় দ্রুত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া জেলার চারটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও একটি ক্রস বাঁধ ভাঙায় পানির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, জেলার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত। এ দুই উপজেলার হাজারো পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গা, পরিত্যক্ত রেল লাইন ও আশ্রয় কেন্দ্রে। এদের অধিকাংশ মানুষই খালি হাতে বাড়ি ছেড়েছেন। এছাড়া ফসলি জমি, পুকুরের মাছসহ নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে গাছপালা।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে পানির চাপ বাড়ায় জেলার চারটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও একটি ক্রস বাঁধ ভেঙে গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সাঘাটা উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক লেভেল ২০ দশমিক ৮৫) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি ৮৩ (স্বাভাবিক লেভেল ২২ দশমিক ৫৩) ও করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ৪৪ (স্বাভাবিক লেভেল ২০.৫৯) সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গাইবান্ধার ৩ নদীর পানি

জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের দুইটি বাঁধ ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে সাঘাটা-গাইবান্ধার মূল সড়কটি। এই সড়কটি কোনো ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডুবে যাবে গাইবান্ধার পাঁচটি উপজেলা।

এছাড়া পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চেরেঙ্গা বাঁধের ৪০০ ফিট ও কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের টোংরারদহ এলাকায় করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০০ ফিট ভেঙে গেছে। এতে পানিবন্দি পয়ে পড়েছে উপজেলার ১৬টি গ্রাম।

একই অবস্থা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের হাতিয়াদহ পয়েন্টে ৫০ ফিট ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৩০ গ্রাম। এছাড়া নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে আরো অনেক গ্রাম।

জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে জানান, বন্যা দ‍ুর্গতদের ইতোমধ্যে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা সহায়তা করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। ধসে যাওয়া বাঁধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষায় সেনাবাহিনীর ৮৫ জন সদস্য মাঠে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ‍আগস্ট ১৬, ২০১৭
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।