বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়েজিত 'শব্দ দূষণ ও হাইড্রোলিক হর্ণ বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা তথ্য পেয়েছি, নিহত সাইফুল নব্য জেএমবিতে সদ্য যোগকারী একজন।
‘পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি সাইফুলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর ওই হোটেলের ম্যানেজারের কাছ থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে খুব কম সময়ের মধ্যেই আমরা তার পরিচয় জানতে পারি। ’
তিনি বলেন, প্রাথমিক তথ্যে আমরা জঙ্গি সাইফুলের সম্পর্কে জানতে পেরেছি, মাদ্রাসায় পড়াশোনার পর সে খুলনার বিএল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতো।
‘আমরা তদন্ত করছি, সাইফুলের পরিবার ও তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কী ছিলো এবং তার পূর্ববর্তী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে। ’
তবে একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে এ ঘটনায় আরও তদন্ত এবং তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে বিস্তারিত বলা যাবে বলেও জানান আছাদুজ্জামান মিয়া।
ডিএমপি কশিশনার বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে, তাদের অনুসারী ও সহযোগীরাই এই শোক মিছিলে হামলার পরিকল্পনা করছিল। বঙ্গবন্ধু জাদুঘরেও তারা হামলা করতে পারে।
বাংলাদেশে বড় কোনো জঙ্গি হামলা বা নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই দাবি করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে নব্য জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাংগঠনিক সক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে। দেশে বড় কোনো নাশকতা ঘটানোর মতো কোনো শক্তি নেই। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি ঘটনা ঘটাতে পারে।
‘যা প্রতিহতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একই সঙ্গে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নব্য জেএমবি সদস্যদেরও গ্রেফতার করতে চেষ্টা চলছে,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এসজেএ/এমএ