তিনি বললেন, জানালার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে নেট (ইন্টারনেট) আসে এদিক থেকে সরে দাঁড়ান। তার এই কথায় লাইনে থাকা কয়েকজন বয়স্ক যাত্রী সরে গেলেন।
কিছুক্ষণ পর আবার কাউন্টারের জানালা বন্ধ করে দাঁড়ালেন কয়েকজন যাত্রী। এবারও একইভাবে যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ করলেন ফজলুল হক।
বললেন, নেট অনেক সমস্যা করে। যে কারণে অনলাইনে টিকিট সেল করতে খুবই যন্ত্রণা হয়। কখনও কখনও একটি টিকিট দিতেও কয়েক মিনিট চলে যায়।
‘অনেক সময় এমনও হয়, নেট পাওয়া যায় না, পেপার টিকিট দিতে হয়। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও কোনো কাজ হয়নি,’ জানালেন ফজলুল হক।
স্টেশনটি হয়ে দৈনিক তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এগুলো হচ্ছে- রংপুর এক্সপ্রেস (ঢাকা -রংপুর), লালমনি এক্সপ্রেস (লালমনিরহাট-ঢাক), দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস (দিনাজপুর-সান্তাহার), করতোয়া এক্সপ্রেস ।
রয়েছে লোকাল ও মেইল ট্রেন। এগুলো হচ্ছে- পদ্মরাগ এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ মেইল, করতোয়া এক্সপ্রেস ও বগুড়া এক্সপ্রেস। কয়েকবছর আগে আরও রামসাগর ও লোকাল ৪৮১ ও লোকাল ৪৮২ নম্বর ট্রেন দু'টি গাইবান্ধা স্টেশনে যাত্রী পরিবহন করতো। সেই ট্রেন দু'টি বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন স্টেশন মাস্টার শহিদুল হক।
কেনো বন্ধ করা হলো, যাত্রী কি কম হতো? জবাবে বললেন, এই রুটে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছে রামসাগর ট্রেন। কোনোদিন ফাঁকা যেতো না।
লোকবল ও ইঞ্জিন সংকটের কারণে ট্রেনটি বন্ধ করা হয় বলেও জানান তিনি।
গাইবান্ধা স্টেশনটি মোটামুটি পরিচ্ছন্ন বলা চলে। তবে আরও ভালো করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সাড়ে ৯টায় বগুড়া মেইল প্রবেশের আগে গিজগিজ করছিলো লোকজন।
এই অঞ্চলে এখন প্রধান বাহন রেলওয়ে। বাস চলাচল রয়েছে তবে ততোটা উন্নত নয়। যে কারণে ট্রেনের সঙ্গে সময় মিলিয়ে দিনের কর্মসূচি তৈরি করেন অনেক যাত্রী।
** হাসানের প্রশ্নের উত্তর জানা আছে কি?
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এসআই/এমএ