ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ড্রেসিং শেষে ভালো আছে মুক্তামনি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
ড্রেসিং শেষে ভালো আছে মুক্তামনি মুক্তামনি (ফাইল ছবি)

ঢাকা: ‘হেমানজিওমা’ রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার ১১ বছরের শিশু মুক্তামনির ড্রেসিং সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দু’ঘণ্টা ধরে তার ড্রেসিং করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসকরা। পরে ফের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে মুক্তামনিকে।

বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ও মুক্তামনির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলানিউজকে বলেন, ড্রেসিং শেষে ভালো আছে মুক্তা। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

মুক্তার বাবা ইব্রাহিম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ড্রেসিংয়ের সময় তিন ব্যাগ রক্ত জোগাড় করে রাখা ছিলো। দুই ব্যাগ ড্রেসিংয়ের সময় লেগেছে, বাকি এক ব্যাগ রক্ত প্রয়োজনে দেওয়া হবে।

গত শনিবার (১২ আগস্ট) ঢামেক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) ডান হাত অক্ষত রেখেই দু’ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারের পর থেকে মুক্তামনিকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। রক্তক্ষরণের ভয় ও ঝুঁকিতে থাকায় আরো বেশ কয়েকদিন তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ডা. সামন্ত জানান, মুক্তার হাত থেকে তিন কেজির মতো বাড়তি মাংস (টিউমার) অপসারণ করা হয়েছে। আরও দুই কেজি টিউমার অপসারণে ফের কয়েকদফা অস্ত্রোপচার করতে হবে। এ সপ্তাহের শেষের দিকে মেডিকেল বোর্ড ফের বসে আবারও অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মুক্তামনির ডান হাতে প্রথমে টিউমারের মতো হয়। ছয় বছর বয়স পর্যন্ত টিউমারটি তেমন বড় হয়নি। কিন্তু পরে তার হাতটি ফুলে অনেকটা কোলবালিশের মতো হয়ে যায়! সাদা রঙের শত শত পোকা ঘুরে বেড়াতে থাকে সেই ফুলে যাওয়া অংশে। শরীরের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণায় মুক্তামনি বসতেও পারতো না। এরপর হাতে পচন ধরে। হাতের সঙ্গে বুকের একাংশেও ছড়িয়ে পড়ে রোগটি। সে বিছানাবন্দি হয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় বছরেও মুক্তার রোগ ধরতে পারেননি চিকিৎসকরা।

এরপর সংবাদমাধ্যমে তার কথা উঠে এলে গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ভর্তি করা হয় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তামনির চিকিৎসায় গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গত ০৫ আগস্ট প্রথম দফায় বায়োপসি অপারেশন করে জানতে পারেন, রক্তনালীতে টিউমার বা ‘হেমানজিওমা’ রোগে আক্রান্ত শিশুটি। এরপর ডান হাতটি কেটে ফেলার ঝুঁকি থাকলেও সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এজেডএস/এসআরএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ