তবে এখন আর নতুন করে কোনো বনসাই লাগানো হচ্ছে না। বরং মাথা তুলছে কৃষ্ণচূড়া, বকুল, সোনালু, কাঠবাদাম , হিজল, তমাল, চেরি, সুপারি, রঙ্গন, টগর, বাগান বিলাস।
দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন গাছ এমনভাবে লাগানো হচ্ছে যাতে করে সারা বছরই ফুলে আচ্ছাদিত থাকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল সড়কের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড’।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও আবেদ মনসুর বুধবার সকালে বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড় লক্ষ বৃক্ষ ,লতা-গুল্ম ও পাতাবাহার শ্রেণির গাছ লাগানো হয়ে গেছে। যা অক্সিজেন ও ছায়া দেওয়ার পাশাপাশি সৌন্দর্য বর্ধনে সহায়ক হবে। এই ৬ কিলোমিটার সড়কে ৫ লক্ষাধিক বৃক্ষরোপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১২টি ডিজিটাল যাত্রী ছাউনি, ফুটপাত নির্মাণের কাজ চলছে। যা এ বছরের শেষদিকে সম্পন্ন হবে।
সওজ-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তার উভয় পাশে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ দেশী প্রজাতির বৃক্ষ ,লতা-গুল্ম ও মৌসুমী ফুলের গাছ লাগানো হবে। এর মধ্যে পাঁচশ’ বনশাই লাগানোর কথা ছিলো। প্রথম চালানে ১৬০টি বনশাই আমদানিও করা হয়েছিলো। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে একশ’টি লাগানোর পর কিছু সমালোচনা তৈরি হয়। তাই নতুন করে আর বনসাই লাগানো হয়নি।
আর লাগানো একশ’ বনশাইয়ের মধ্যে চব্বিশটি এরই মধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সে জায়গায় দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে।
বিমানবন্দর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, টিকে থাকা বনসাইগুলো নতুন পাতায় ছেয়ে যাচ্ছে। অবশিষ্টগুলোকে জড়ো করে রাখা হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের পেছনে রেললাইন সংলগ্ন ফাঁকা স্থানে। পরিচর্যার অভাবে বিবর্ণ সব ক’টা।
এ ব্যপারে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ভিনাইল ওয়ার্ল্ড এর সি.ই.ও আবেদ মনসুর আক্ষেপ নিয়ে বলেন , আসলেই আমরা বাকি ৮৬টি বনশাই নিয়ে বিপদে পড়েছি। এত দামি গাছ কোথাও লাগাতেও পারছি না। আবার কোন ভাল জায়গাও নেই যেখানে এগুলো সেভাবে সংরক্ষণ করা যায়। তবে ইতোমধ্যেই আমরা ৮টি গাছ কিছু পরিচিতজনের মাঝে বিক্রি করে দিয়েছি। বাকিগুলোও অচিরেই বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
জেডএম/