সন্ধ্যার পর থেকেই গোপালপুর উপজেলার গুলিপেচা এবং ভূঞাপুর উপজেলার চুকাইনগর, অর্জুনা ও কুঠিবয়ড়া পয়েন্টে মারাত্মকভাবে পানি প্রবেশ করছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে তারাকান্দি- ভূঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়ক।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাত ৮টার দিতে ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুঠিবয়ড়া পয়েন্টে লিকেজ বন্ধ করতে বালি ও বালুভর্তি বস্তা দিয়ে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে যমুনার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি ও লিকেজগুলো বড় আকার ধারণ করলে যে কোনো মুহুর্তে সড়কটি ভেঙে যেতে পারে। এতে তারাকান্দির সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গসহ টাঙ্গাইল জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।
রাতে কুঠিবয়ড়া তারাকান্দি-ভূঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়কে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ সময় ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ, ভূঞাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম কাউসার চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে লিকেজের খবর শুনে তারাকান্দি-টাঙ্গাইল সড়কের গোপালপুর অংশ পরিদর্শন করেন গোপালপুর ইউএনও ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। আর এ সড়ক ভেঙে গেলে উত্তর টাঙ্গাইলের গোপালপুর, ঘাটাইল, মধুপুর ও কালিহাতী এই চারটি উপজেলা নতুন করে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ বাংলানিউজকে জানান, তারাকান্দি-ভূঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে লিকেজ দেখা দিয়েছে। সেগুলো বন্ধ করতে ওই সড়কের ১০টি পয়েন্টে কাজ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬,২০১৭
এমসি/বিএস