তবে তিন দিনের প্রবল স্রোতের তোড়ে এই উপজেলার ধুরোইল ও ঘাষিগ্রাম ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের দুই হাজার ৩০ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙায় উপজেলার এই দুই ইউনিয়নের কৃষকদের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
এই তথ্য হালনাগাদ করে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
এদিকে, সোমবার বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাঁধ ভেঙে এখনও প্রবল স্রোতে হু হু করে পানি ঢুকছে। ওই পয়েন্টে থাকা একটি গভীর নলকূপের কাজে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক খুঁটি বিলমাইল বিলে বিলীন হয়ে গেছে। তবে বাঁধ ভাঙার পর উপজেলা প্রশাসন ও ধুরোইল ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পাউবোকে সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার ধুরোইল ইউনিয়নেরর ভীমনগর, লক্ষ্মীপুর, পালসা, খানপুর, মজলিশ বাড়ী, মল্লিকপুর, পিয়ারপুর এবং ঘাষিগ্রাম ইউনিয়নের মহিষকুণ্ডি শ্যামপুর, আতা নারায়নপুর, ঘাষিগ্রাম, ডাঙ্গাপাড়া, পাইকপাড়াসহ দুই ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। ঝুঁকিতে থাকা বাকশিমুইল, জাহানাবাদ, রায়ঘাটি, মৌগাছি ইউনিয়নসহ পশ্চিম বাগমারার গ্রামগুলোতেও এরই মধ্যে ফুঁসে ওঠা শিবনদীর পানি ঢুকে পড়েছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বেড়িবাঁধের ওই পয়েন্টে প্রবল স্রোত মঙ্গলবার বিকেলে কিছুটা কমেছে। তাই ভাঙন বন্ধের জন্য বিকেল থেকেই শ্রমিকরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ মেরামতের কাজ করা হবে।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার বাংলানিউজকে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা আজও ঘটনাস্থলে এসে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ি বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। এরই মধ্যে বাঁধ মেরামতের কাজও শুরু করেছেন তারা। এজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করা যাবে বলেও জানান এই নির্বাহী কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এসএস/বিএস