এসব এলাকার মধ্যেই পান্থপথে এক হোটেলে অবস্থান নেয় জঙ্গি সাইফুল ইসলাম, সেখান থেকে ১ দশমিক ৪ কিলোমিটারের এই পথে পায়ে হেঁটে মাত্র ১৭ মিনিটের দূরত্বে ধানমন্ডি-৩২!
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীর দিনটিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাধারণ মানুষের সুবিধার্তে কিছু এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরমধ্যে সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে রাসেল স্কয়ার পর্যন্তও বন্ধ রাখার নির্দেশ ছিল।
গুগল ম্যাপ বলছে, পান্থপথের এই হোটেল থেকে পায়ে হেঁটে মাত্র ১৭ মিনিটের পথ ধানমন্ডি-৩২ নম্বর। আর হামলার পরিকল্পনা দেখে পুলিশ বলছে শোকের র্যালিতে হামলার টার্গেট ছিল জঙ্গি সাইফুলের। তবে পুলিশ অপারেশন ‘আগস্ট বাইট’ এর মাধ্যমে সেই পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিলো। রাজধানীতে আত্মঘাতী বোমা হামলা পরিচালনার উদ্দেশ্যেই সে এই হোটেলে ওঠে।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটেরর প্রধান মনিরুল ইসলামের মুখেও শোনা যায় একই কথা।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সাইফুল নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য। ধানমন্ডি-৩২ নম্বর কেন্দ্রিক শোক মিছিলগুলোতে হামলার টার্গেট ছিল তার। এজন্য নিকটবর্তী হোটেলে অবস্থান নেয় সাইফুল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নব্য জেএমবির নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ায় সংগঠনের অস্তিত্ব জানান দিতে এই হামলার পরিকল্পনা ছিল। এজন্য শোকের মাস আগস্টে হামলার জন্য মরিয়া ছিল তারা।
কিন্তু গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তেতে ধানমন্ডি-৩২ এলাকায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। তিনটি রাস্তায় ব্লক রেইড দিয়ে অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ে রাতে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অভিযানে সকালে নিহত হয় সাইফুল।
হামলার জন্য সাইফুল বিস্ফোরক নিয়ে ছিল জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, আত্মসমর্পণের কথা বলা হলেও সাড়া দেয়নি সাইফুল। ওই জঙ্গিকে দুর্বল করতে গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। এসময় তিনটি বোমার মধ্যে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দরজা এবং দেয়াল ধসে যায়। পরে আর একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বারান্দার দেয়ালও ধসে যায়। আত্মঘাতীতে নিহত হয় জঙ্গি সাইফুল।
অভিযানের পর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আরও একটি বোমা নিস্ক্রিয় করে।
**সাইফুলের কাছে বিস্ফোরক পৌঁছে দেয় অন্যজন!
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ