স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (১৪ আগস্ট) থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৪৫ মিটার এলাকার সিসি ব্লক ধসে যায়। এতে উপজেলার নদীর তীরের পালিদেহা, গৌরীপুর, নুরুল্লাপুর, লক্ষ্মীপুর, তিলকপুর ও নবীনগর গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর পদ্মার লালপুর উপজেলার নবীনগর, লক্ষ্মীপুর, পালিদেহা ও গৌরীপুর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল এ কাজের সঙ্গে জড়িত। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। দীর্ঘদিন ধরে বালু মহাল ইজারা না হলেও নদী থেকে বালু ও ভরাট উত্তোলন থেমে থাকে না।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, পদ্মার লালপুর অংশে নদীর তীর রক্ষা সিসি ব্লকের ৪৫ মিটার ধসে গেছে। তবে এটা কোনও বড় ধরনের সম্যসা নয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সিসি ব্লকের ভাঙন রোধে পানি উপন্নয়ন বোর্ড দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ মুহূর্তে ভয়ের কিছু নেই। এলাকার মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয়, সেজন্য সবাইকে সর্তক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তারপরও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
টিএ/আরবি/