যমুনার পানি ঠেকাতে এসব গ্রামের ওপর দিয়ে নির্মিত হয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়িয়া গ্রামের পূর্বদিক বরাবর যমুনার পানির দাপট কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে স্পার।
দোকানের কাছেই গড়ে তোলা হয়েছে জরুরি মেডিকেল টিমের অস্থায়ী চিকিৎসালয়। বানভাসি মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল এ উদ্যোগ গ্রহণ নিয়েছে।
কিন্তু মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ৩টা পর্যন্ত সেখানে কোনো চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। গত চারদিনে ওই টিনের ঘরে কখনও কখনও ডাক্তার থাকলেও তারা কোনো ওষুধ দিতে পারেননি বলে অভিযোগ বানভাসিদের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কয়েকটি মুদি দোকান থাকায় স্থানটি প্রায়ই সময় বেশ জমজমাট থাকে। এছাড়া স্পার হয়ে নদীপথে নৌকাযোগে যাতায়াত করতেও এ স্থানটি ব্যবহার করেন মানুষ।
এখানে টিনের বেড়া ও ছাউনির ঘরে বানভাসিদের চিকিৎসাসেবা দিতে ‘জরুরি মেডিকেল টিম’ সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘরের পূর্বপাশের টিনের দরজা সকাল থেকেই বন্ধ বলে জানান স্থানীয়রা।
মেসার্স ইয়াসমিন স্টোরের মালিক মো. রুবেল মিয়া বাংলানিউজকে অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘বানের পানি খেয়ে মানুষ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে বেশিরভাগ বানভাসি মানুষের পেটের পীড়া দেখা দিচ্ছে। কিন্তু ডাক্তাররা আসেন না। এলেও তাদের কাছে কোনো ওষুধ থাকে না’।
কল্পনা, হেনা, শিপন, স্বপনসহ একাধিক বানভাসি মানুষও একই অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুধু লোক দেখানোর জন্য এ ধরনের সাইনবোর্ড টানিয়ে লাভটা কি? আমরা অসুখে মরি, আর তারা (ডাক্তার) আমাদের মতো অসহায় বানভাসিদের সঙ্গে মশকরা করেন’।
এজন্য ডাক্তারদের উপযুক্ত শাস্তি পাওয়া উচিত বলেও মনে করেন বানভাসি মানুষগুলো।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সেখানে একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও একজন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের পালাক্রমে দায়িত্ব পালনের কথা। বানভাসি মানুষদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিতে প্রয়োজনীয় ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে তাদের কাছে।
কেন তারা সেটি বন্ধ রাখেন? আর কেনই বা বানভাসি অসহায় মানুষদের তারা ওষুধ দেন না- বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখা হবে। এ ধরনের কাজ করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭।
এমবিএইচ/এএসআর