মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে রংপুর সেনা নিবাসের সদস্যরা বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছে তিনটি অস্থায়ী ক্যাম্প করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের পুনর্বাসন, প্রয়োজনীয় উদ্ধার ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর সহযোগিতা করতে সেনা সদস্য নেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা পুনর্বাসনে সেনা বাহিনীর তিনটি ক্যাম্প কাজ করবে। এজন্য লালমনিরহাট মিলেটারি ফার্ম, আদিতমারী উপজেলা ডাকবাংলো ও হাতিবান্ধা ডাকবাংলোতে তিনটি ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছে সেনা বাহিনীর সদস্যরা।
মিলেটারি ফার্মে অবস্থান নেয়া সেনা সদস্যরা লালমনিরহাট সদর উপজেলায়, আদিতমারীর টিম কাজ করবে আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলা এবং হাতিবান্ধা পাটগ্রাম উপজেলায় কাজ করবে হাতিবান্ধা টিম। তারা বুধবার (১৬ আগস্ট) থেকে বন্যার্তদের সেবায় কাজ শুরু করবে।
সেনাবাহিনীর এ ক্যাম্পে রয়েছে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল টিম। রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স ও কিছু জরুরি ওষুধপত্র, বানভাসিতে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়ার সরঞ্জাম। তারা বন্যার্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধপত্র দিবেন।
এছাড়া বন্যার তোড়ে ভেঙে যাওয়া রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট সংস্কার করবে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোড়ের সদস্যরা। শুধু তাই নয় ১৯ আগস্ট ফের বন্যার আশঙ্কা করছে বন্যার পুর্বাভাস কেন্দ্র। সে বন্যায় আগাম প্রস্তুতি ও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিবে সেনা বাহিনীর এসব সদস্য।
আদিতমারী উপজেলা ডাকবাংলোর অস্থায়ী ক্যাম্পের দায়িত্বে ক্যাপ্টেন মর্তুজা বাংলানিউজকে জানান, বন্যার্তদের সেবায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে আসা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন যেভাবে গাইড লাইন দিবেন। সেভাবে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বাংলানিউজকে জানান, বন্যার্তদের পুনর্বাসন, উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনী তিনটি অস্থায়ী ক্যাম্প করেছে। উজানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় আবারও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যায় উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিতে সেনা সদস্যরা প্রস্তুত থাকবেন। বিগত বন্যার অভিজ্ঞতায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
আরবি/