দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে। তাই সে ভয়ে মাদ্রাসা ও এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।
আবু তালহা লেখাপড়ার পাশাপাশি বগুড়া সেনানিবাসের গলফ ক্লাবে খণ্ডকালীন কেডি (খেলোয়াড়দের ব্যাগ বহনকারী) হিসেবে কর্মরত।
এ ঘটনায় আবু তালহার বাবা আব্দুল হালিম বাদি হয়ে বগুড়া শাজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি তার পুত্রের জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন।
গত ১০ আগস্ট আবু তালহা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রশংসামূলক একটি কবিতা লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় এলাকার কিছু যুবক ক্ষিপ্ত হয়। পরদিন ১১ আগস্ট দিনগত রাতে যুবকরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এক নির্জন স্থানে তারা তার চোখমুখ বেঁধে চড়থাপ্পড় ও লাথি মারে। পরে মাথার অর্ধেক চুল কেটে দেয়। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়। ভয় পেয়ে তালহা ডোমনপুকুর থেকে পালিয়ে নিজ গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে।
তালহাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তালহার দাদা দারুজ্জামান মণ্ডল ও এক চাচা মুক্তিযোদ্ধা। অভাব-অনটনের কারণে তালহার বাবা আব্দুল হালিম মণ্ডল কাজের সন্ধানে বগুড়ার মাঝিড়া এলাকায় এসে একটি প্রতিষ্ঠানে গার্ডের চাকরি নেন। এরপর থেকে উপজেলার ডোমনপুকুর গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭।
এমবিএইচ/জেএম