অনেক শখ, আশা, ভরসা করে গরুটি লালন-পালন করছেন মালিক অনুজ কুমার হালদার। এ কোরবানিতে পঁচিশ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান শখের এ ষাঁড়টিকে।
বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের শৈলখালি গ্রামে এ খামারির বাড়ি। পাঁচ বছর আগে নিজ বাড়িতে একটি অস্ট্রালিয়ান ফ্রিজিয়ান গাভী পালন শুরু করেন তিনি। সেই গাভী একটি বকনা বাছুর দেয়। সেই বকনা বাছুর তিন বছর আগে জন্ম দেয় বিট্টু মহারাজকে।
জন্মের পর থেকে আদর যত্নে বড় হতে থাকে বিট্টু মহারাজ। তখন থেকে পরম মায়া মমতায় পালন করতে থাকেন মহারাজকে। মহারাজকে কখনোই পশু পালনের নিয়ম মেনে খাবার খাওয়ান নি অনুজ হালদার। মোটাতাজাকরণ কোনো ওষুধ বা পথ্য ছিলনা মহারাজার খাবারে।
মহারাজাকে ভাত, কলা, পেয়ারাসহ বিভিন্ন দেশি ফল খাওয়ান নিয়মিত। সঙ্গে থাকে পশুর প্রয়োজনীয় সব খাবার। আরামে রাখতে খামারে তার থাকার জায়গায় চারটি ফ্যান লাগিয়েছেন অনুজ হালদার।
জানা যায়, বাগেরহাট জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় এই মহারাজ। কোরবানি যতই ঘনিয়ে আসছে তাকে দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় ততই বাড়ছে। দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই মহারাজকে দেখতে আসছে অসংখ্য মানুষ। সময় যত কাছে আসছে মহারাজের জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে।
৩৭ মণ ওজনের গরুর মালিক অনুজ কুমার হালদার বলেন, মহারাজা আমার খুব শখের পশু। ওকে আমি কখনও পশু ভাবি নাই। ওকে আমার পরিবারের সদস্য মনে করি। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে তিনজনের সংসার আমার। আমরা সবাই বিট্টুকে খুবই ভালোবাসি। সবসময় ওর খেয়াল রাখি। ওকে বিক্রি করার পর আমার খারাপ লাগবে। তারপরও নিয়মতো মানতে হবে আমাদের।
দামের ব্যাপারে অনুজ হালদার বলেন, যে মায়া মমতা দিয়ে তাকে আমি পালন করছি। তার দাম কেউ দিতে পারবে না। তবে আমি আশা করি এবছর আমার গরুর দাম হবে ২৫ লাখ টাকা।
অনুজ আরও বলেন, মুসলমানদের পবিত্র এ কোরবানিতে আমার এ গরু হবে দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এ গরুকে যারা কোরবানি দিবেন তারা কৃত্রিমতা ছাড়া একটি গরু পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১8১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এসএইচ