সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে গোপন সংবাদে ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শহরের কাটনারপাড়া চকযাদু ক্রসলেনের প্রেসপট্রির আকন্দ লজের নিচতলায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে প্রথমে চারজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- একই এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে আশিক দৌলাতানা ওরফে অভি (৩৩), মৃত আব্দুল গোফ্ফারের ছেলে নয়ন ইসলাম (২৮), মৃত মিঠু শেখের ছেলে রিয়াল শেখ (২০) ও এনামুল হোসেনের ছেলে রাফিউল ইসলাম অন্তর (২০)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই হাজার ৩৭০টি রবি, ৩২৫টি গ্রামীণ ও ১০০টি টেলিটক কোম্পানির মোবাইল সিমকার্ডসহ মোট দুই হাজার ৭৯৫টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মূল আসামি অভির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শহরের শিববাটি এলাকার অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়।
তারা হলেন- গোলাম রসুল খান রানার ছেলে রবি মোবাইল ফোন কোম্পানির ডিলার রাফিদ হাসান খান (২৬), পূর্বপাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে লিটন মিয়া (৩০), নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়ার মনছুর আলীর ছেলে মঞ্জুরুল হক মঞ্জু (২২), শাজাহানপুর উপজেলার চাঙ্গুর পূর্বপাড়ার রেজাউল করিমের ছেলে শফিউল আলম শাকিল (২৮) ও গাবতলীর জামিলবাড়ীয়ার আব্দুল করিমের ছেলে সেলিম রেজাকে (২৫)।
পুলিশ সুপার বলেন, রাফিদ হাসান খান বিভিন্ন রিটেইলারের কাছ থেকে বায়োমেট্রিক সিম সংগ্রহ করে মূল আসামি অভিকে দেয়। চক্রটি বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড সংগ্রহ করে ঢাকা ও সিলেটের দু’জন ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে থাকে। প্রতারণাসহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটনের কাজে এসব সিমকার্ড ব্যবহার হয়ে থাকে।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও যোগ করেন এসপি আসাদুজ্জামান বিপিএম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি