মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) অপরাশেন আগস্ট বাইট শেষ হওয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রাথমিকভাবে এসব খবর জানতে পেরেছেন।
অপারেশন শেষে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিএল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল শিবির কর্মী ছিল।
এ সময় সাইফুলকে নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলেও অভিহিত করেন তিনি।
অপরদিকে দুপুর একটার দিকে সাইফুলের বাবাকে নিয়ে খুলনার ডুমুরিয়া থানা পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, অভিযানে সাইফুল ইসলামের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার ছেলে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়।
সাইফুলের বাবার উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, খুলনার নেভি কলোনিতে থেকে সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পড়াশোনা করতো সাইফুল। সপ্তাহে সপ্তাহে বাড়িতে আসত। গত ৭ আগস্ট চাকরির কথা বলে সে খুলনা থেকে ঢাকায় যায়। যাওয়ার আগে সে নোয়াকাঠির বাড়ি ঘুরে গিয়েছিল। ঢাকায় যাওয়ার পর সর্বশেষ গত রোববার সাইফুল বাড়িতে যোগাযোগ করেছিল। সে সময় জানিয়েছিল সে সোমবার বাড়িতে আসছে। কিন্তু সোমবার বাড়িতে আসেনি। মঙ্গলবার তার আত্মঘাতী হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার উলা মজিদিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করেন সাইফুল। পরে খুলনা আলিয়া মাদরাসা থেকে আলিম পাস করেন। সর্বশেষ তিনি খুলনার সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স শেষ বর্ষে অধ্যয়ণরত ছিলেন। দু’ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। তার বাবা আবুল খায়ের খুলনার ডুমিরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়ন জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ।
ডুমুরিয়া থানার ওসি বলেন, ঢাকায় নিহত জঙ্গি সাইফুল খুলনায় শিবিরের রাজনীতি করতো বলে শুনেছি।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য নিয়ে আরো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এমআরএম/জেডএম/