মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৬টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি সামান্য হ্রাস পেলেও বিপদসীমার ১০১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তিরা হলেন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় মুজিবর রহমান (১৫), উলিপুর উপজেলায় আজাহার আলী (৭০) এবং নাগেশ্বরী উপজেলায় আব্দুল করিম ওরফে মনসুর (১৪) ও ফুল বানু (৩১)।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান স্বাক্ষরিত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রেরিত প্রতিবেদনে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট সড়কের উপর থেকে পানি নেমে গেলেও যানবাহন চলাচল শুরু হয়নি। কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় সীমিত আকারে হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের কয়েকটি স্থানে ভেঙে ও পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কুড়িগ্রামের টগরাইহাটে রেলওয়ে সেতুর গার্ডার ধসে যাওয়ায় কুড়িগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য মতে, চলতি বন্যায় কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজোর ৫৯টি ইউনিয়নের ৭৬৩টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ৭০ হাজার ৮৬১ পরিবারের ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
বিভিন্ন নদ-নদীর ভাঙনে বাড়ি-ঘর হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে দুই হাজার এক ২৩টি পরিবার। ৩৮৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও দুইশ' ৪২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ১৯ হাজার ২২৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়ে আছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বাংলানিউজকে জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য ১৭ লাখ টাকা, সাড়ে ৬ শ মেট্রিকটন চাল ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণের কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এএটি/