ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যে পথে ঘাতকের ট্যাংক সে পথে আলোর মিছিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
যে পথে ঘাতকের ট্যাংক সে পথে আলোর মিছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের আলোর মিছিলের একাংশ

ঢাকা: পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে যে পথ দিয়ে ঘাতকের ট্যাংক বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে, সে পথে ৪২টি মশাল নিয়ে ‘আলোর মিছিল’ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা।

১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে (সোমবার দিনগত রাতে) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের টিএন্ডটি মাঠের সামনে থেকে আলোর মিছিলটি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটির আয়োজন করে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ নামে একটি সংগঠন।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি মিছিল পূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, যারা জাতির জনকের অবদানকে অস্বীকার করে তারা বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে। তারা বাঙালি কিনা এ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘জাতির পিতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। আর বাংলাদেশ না হলে দেশের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনো বাঙালি আসীন হতে পারতেন না। বাঙালি হিসেবে এ কথাটি আমাদের সবার মনে রাখা উচিত। ’

আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহিনের সঞ্চালনায় মিছিল পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী।  

আর বক্তৃতা করেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. কাজী সাইফুদ্দিন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম. এম. ইমরুল কায়েস, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জোবায়দা হক অজন্তা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহববুর রহমান রুহেল ও ডা. সুব্রত ঘোষ, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মিজান রহমান ও ওমর ফারুক সাগর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রনি ও  আল-আমিন মৃদুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা আক্তার, কোষাধ্যক্ষ ও দপ্তর সম্পাদক আহমাদ রাসেল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল রহমান মোল্লা, আরেফির কাউসার, শফিকুল ইসলাম, ধ্রুব আব্বাস ও মাসুদ রানা।  

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, কিশোরগঞ্জ, মোৗলভীবাজারের প্রতিনিধিরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।  

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশে বসে নানা ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়ে এখন বিদেশের মাটিতে বসে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকতে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বেঁচে থাকতে বাংলার মাটিতে আর কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।

অন্যান্য বক্তারা বঙ্গবন্ধু হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।  

আলোর মিছিল বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হওয়ার পর সেখানে শপথ নেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা। এরপর কর্মসূচির সমাপ্তি টানা হয়।

মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।