সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে আত্রাইয়ে এই পানি প্রবাহ শুরু হয়েছে। নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সুধাংশু কুমার বলেন, আত্রাই নদীতে ১২.৬৫ মিটারের প্রবাহকে বিপদসীমা ধরা হয়। সে বিবেচনায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সিংড়া ব্রিজ থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ফেরিঘাট এলাকায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রাত ১০টা পর্যন্ত নদীতে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ১২.৮৫ মিটার।
তিনি আরও জানান, নদীতে পানি ক্রমাগত বাড়ছে। আরও দুই-তিনদিন এই অবস্থা চলতে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। আর এমনটা হতে থাকলে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল আহসান বাংলানিউজকে জানান, পানি বাড়লেও আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসাবে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জন্য ১৩ জন অফিসার নির্দিষ্ট করে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করবেন।
এছাড়া ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য বলা হয়েছে, যেন তারা এলাকা প্লাবিত হলেই তাৎক্ষণিক কন্ট্রোল রুমকে জানান।
ইউএনও আরও জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে আগাম প্রস্তুতি হিসাবে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে ত্রিশ মেট্রিক টন চাল ও জিআর ক্যাশ বাবদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দের জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। তারাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এইচএ/